শুক্রবার হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের মার্কিন দূতাবাসের সামনে মানুষের ভিড়। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য তারা সেখানে ভিড় করেন

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে দিন দু’য়েক আগে নিজ বাড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতির। আর এবার দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বিদেশি সেনা চাইছে হাইতি। দেশের প্রধান প্রধান অবকাঠামো রক্ষার জন্য এই আবেদন জানিয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের এই দেশটি।

শনিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব নেওয়া অর্ন্তবর্তী সরকার দেশের নিরাপত্তা ও প্রধান প্রধান অবকাঠামো রক্ষায় বিদেশি সেনা চেয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ‘বর্তমানে’ হাইতিকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ওয়াশিংটনের।

এর আগে  স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হাইতির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে নিজ বাড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যায় ২৮ জন জড়িত এবং এর বেশিরভাগই কলম্বিয়ার সাবেক সেনা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে হত্যায় জড়িত ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং ২ জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এর মধ্যে ২ জন মার্কিন নাগরিকসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৮ জন সন্দেহভাজন এখনও পলাতক আছেন।

এছাড়া বাকি অভিযুক্তরা রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান লিওন চার্লস।

এদিকে সেনা পাঠাতে রাজি না হলেও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহায়তার জন্য এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের হাইতিতে পাঠানো হবে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের অধীনে কোনো আন্তর্জাতিক সেনাকে হাইতিতে পাঠাতে হলে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে আগে সেই পরিকল্পনা পাস করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বন্দুকধারীরা প্রেসিডেন্ট মোয়েসের ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলা চালায় এবং গুলি করে হত্যা করে। এ হামলায় তার স্ত্রী ও দেশের ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস আহত হন। পরে দ্রুত তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে নেওয়া হয়। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানানো হয়েছে।

টিএম