করোনাভাইরাস পরিস্থিতি
বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণ ও প্রাণহানিতে শীর্ষে ব্রাজিল
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ফের বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ২০০-র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। একইসঙ্গে দৈনিক মৃত্যুতেও ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১০ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ২৬১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৩ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২২ হাজার ৬৯৮ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৩৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭১৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৭ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২০৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪৮ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ১৭৩ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৭ জন, রাশিয়ায় ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ২১৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯১ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৬৪ জন, স্পেনে ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ১৯২ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৩০২ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪১ হাজার ৫০১ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৫৬ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ১৫৫ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৩ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৭৪০ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
টিএম