ভারতে ‘বহুল আলোচিত’ বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের তদন্ত শেষ
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীর বহুল আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে সেখানকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু পুলিশের কমিশনার কমল পান্ত এক টুইট বার্তায় এই ঘটনা তদন্ত শেষের তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশি তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় এক ডজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে দু’জন নারী ও ১১ জন পুরুষ।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের কমিশনার কমল পান্ত বলেছেন, মাত্র ৫ সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত সময়ে পুলিশ এই মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছে। একই সঙ্গে আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করায় পুলিশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত দলের প্রশংসা করেছেন পান্ত। এছাড়া ওই তদন্ত দলকে এক লাখ রূপি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গত ২১ মে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা উভয় দেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-২২ বছরের একজন তরুণীকে বিবস্ত্র করে ৩ থেকে ৪ জন যুবক শারীরিক ও বিকৃতভাবে যৌন নির্যাতন করছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশেও তদন্তে নামে পুলিশ। পরে পুলিশ ভিডিওটির একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি এক তরুণের ছবির মিল খুঁজে পায়। পুলিশ নিশ্চিত হয়- নির্যাতনকারী ওই যুবকের নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করা হয়। এলাকায় সে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত। পরে নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
বেঙ্গালুরু পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধও হন। বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, ধর্ষণের শিকার তরুণী বাংলাদেশের একটি মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছেন। পরে জোরপূর্বকভাবে ওই তরুণীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে পাচারকারীরা। টাকা নিয়ে বিবাদের কারণে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
এই চক্রটি বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটকে নারী ও তরুণীদের পাচার করে।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএস