করোনার অতিসংক্রামক নতুন ধরনের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে ব্রিটেনে মহামারি কোভিড-১৯ রোগে প্রাণহানি ৮০ হাজার ও আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিশ লাখা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

শনিবার নতুন করে আরও ৫৯ হাজার ৯৩৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যে। একই সময়ে আরও এক হাজার ৩৫ জনের প্রাণহানির পর মোট মৃত্যু ৮০ হাজার ৮৬৮; ইতালির সঙ্গে যা ইউরোপে সর্বাধিক। 

তৃতীয়বারের মতো ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালগুলোর কথা ভেবে এ সপ্তাহের শুরুতেই তৃতীয়বারের মতো মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা (স্টে-অ্যাট-হোম অর্ডার) জারি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অভিহিত করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার একদিন আগেই লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মেয়র সাদিক খান। 

যুক্তরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘খুবই খারাপ’ অভিহিত করে আল-জাজিরার লন্ডন প্রতিনিধি বলছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ টিকা নেওয়ার আগে ব্রিটেনের হাসপাতালগুলো কি অবস্থা হয় এটাই এখন দেখার বিষয়।’

শনিবার ৯৯ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপসহ করোনার টিকা নিয়েছেন ৯৪ বছর বয়সী ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। 

সবশেষ হিসাব অনুযায়ী ব্রিটেনের ১৫ লাখের বেশি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর শনিবার মডার্নার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের টিকা দেওয়া হচ্ছে ব্রিটেনে। প্রসঙ্গত, শনিবার ৯৯ বছর বয়সী স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপসহ করোনার টিকা নিয়েছেন ৯৪ বছর বয়সী ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।  

এএস