চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনসহ আরও কিছু ঘটনায় গোটা বিশ্ব বেইজিংয়ের সমালোচনা করলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিষয়টি নিয়ে চীনের পদক্ষেপ মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।  

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উদযাপনের দিন আজ ইমরান খান এক চীনা সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, উইঘুর নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে যা বলা হচ্ছে তার থেকে চীন সেখানে যা করছে তা সম্পূর্ণ আলাদা।

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের মিত্রতা অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের ওপর ইসলামাবাদের নির্ভরশীলতার বিষয়টি ফের উসকে দিয়ে ইমরান বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের চরম নৈকট্য ও সম্পর্কের কারণে আমরা আসলে চীনের অবস্থান মেনে নিয়েছি।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনের ওই সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে আরও বলেছেন, ‘এটা ভণ্ডামি যে উইঘুর পরিস্থিতি ও হংকংয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে কিন্তু অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’

ইমরান আবার উইঘুর নিয়ে কথা তুললে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এটা ভণ্ডামি। অধিকৃত কাশ্মীরের মতো বিশ্বের আরও অনেক স্থানে এর চেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। তবে পশ্চিমা মিডিয়া এ বিষয়ে খুব কমই মন্তব্য করেছে।’

কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উদযাপনের দিন দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান তার অনন্য মডেলের জন্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রশংসা করেছেন এবং সিপিসিকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ইমরান বলেন, ‘আমাদের বলা হয়ে আসছে সমাজের উন্নতির সর্বোত্তম উপায় পশ্চিমা গণতন্ত্র। কিন্তু সিপিসি একটি বিকল্প মডেল চালু করে যেভাবে সমাজে তাদের অবদান তুলে ধরেছে তাতে তা পশ্চিমা সমস্ত গণতন্ত্রকে পরাজিত করেছে।’

তিনি বলেন, একটি সমাজ কেবল তখনই সাফল্য অর্জন করতে পারে যখন তার শাসকগোষ্ঠীর জবাবদিহিতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন অবধি এক্ষেত্রে নেতাদের যোগ্যতা যাচাই ও জবাবদিহিতার সর্বোত্তম উপায় নির্বাচনী গণতন্ত্র।’

ইমরান এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘তবে গণতন্ত্র ছাড়াই কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি) এর চেয়ে বেশি ভাল ফল অর্জন করতে পেরেছে। প্রতিভার বিকাশ এবং এটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য তাদের পদ্ধতিটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চেয়েও ভালো।’  

এএস