পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, লন্ডনে জরুরি অবস্থা
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভীড়ের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাওয়ায় রাজধানী লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মেয়র সাদিক খান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মেয়র সাদিক খান লন্ডনে ‘গুরুতর পরিস্থিতির’ ঘোষণা দেওয়ার পরই তা কার্যকর হয়; যা জরুরি অবস্থার সামিল। জরুরি অবস্থা চলাকালে তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) লন্ডন, লন্ডন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর মেয়র সাদিক খান লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি করেন।
তিনি বলেন, ভাইরাসের বিস্তার ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় লন্ডনের হাসপাতালগুলোর শয্যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আমরা গুরুতর পরিস্থিতির ঘোষণা দিচ্ছি। কারণ পরিস্থিতি এখন সংকটময়।’
গুরুতর পরিস্থিতি জরুরি ও জটিল অবস্থার শামিল। এতে জরুরি সেবা বিভাগের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে। এর আগে গ্রিনফেল টাওয়ারে আগুন, ওয়েস্টমিনিস্টার ও লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার পর এটা জারি হয়েছিল।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এ খবর জানিয়ে লিখেছে, মহামারি করোনাভাইাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর আগে গত আগস্টে গ্রেটার ম্যানচেস্টারেও জরুরি পরিস্থিতির ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাধারণত মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি, জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া, মানবজীবন, মানবকল্যাণ, অপরিহার্য সেবা, পরিবেশ কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে সেসব ক্ষেত্রেই সচরাচর ‘মেজর ইনসিডেন্ট’ ঘোষণা করা হয়।
এই ঘোষণার কারণে লন্ডন কর্তৃপক্ষ নতুন করে কোনো ক্ষমতা পায়নি কিন্তু এতে করে জরুরি সেবা বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
এএস