ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। যেসব রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তার অভিসংশনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ওহাইও অঙ্গরাজ্যে শুরু প্রচারণায় তাদের সমালোচনা করেছেন। প্রস্তুতি শুরু করেছেন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের।

নানা নাটকীয়তা শেষে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া ট্রাম্প আবারও ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন ডেমোক্র্যাটদের অধীনে কতটা খারাপ অবস্থায় রয়েছে তার একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।   

ক্লিভল্যান্ডে তিনি ম্যাক্স মিলারের সমর্থনে ওই সমাবেশ করেছেন। হোয়াইট হাউসে তার সাবেক উপদেষ্টা মিলার ওই নির্বাচন করছেন দলীয় প্রার্থী ও আইনপ্রণেতা অ্যান্থনি গঞ্জালেসের বিরুদ্ধে। গঞ্জালেস ট্রাম্পকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।   

নির্বাচনী সমাবেশের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, মিলার এমন একজন ‘অসাধারণ দেশপ্রেমিক’ আর ‘দারুণ মানুষ’ যিনি ‘ওহাইওর মানুষকে ভালোবাসেন’। বক্তৃতার বেশিরভাগ সময় তিনি গেল নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করে ফের নিজেকে জয়ী দাবি করেন। 

শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা, তার নিজের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং কয়েকজন বিচারক, যাদের কয়েকজনকে তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন, এদের সবাই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নাকোচ করলেও ট্রাম্প আবারও সেই একই কথা বলেন।

সমবেত হাজারো সমর্থকের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। আমরা ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছি।’ তার এমন বক্তব্য শোনার পরপরই সমর্থকরা ‘ট্রাম্প জিতেছে’ বলে স্লোগান দেন।  

সহিংসতায় উসকানি ও বাইডেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সাহায্য নেওয়ার জন্য ট্রাম্প ‍দুবার অভিশংসন থেকে বেঁচে যান। কয়েকজন রিপাবলিকান তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। তারপরও রিপাবলিকান পার্টি রয়েছে ট্রাম্পের করায়ত্তে। 

বিদায় নিলেও ট্রাম্প নড়েচড়ে বসতে সময় নেননি। রক্ষণশীল আমেরিকানদের উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন। রিপাবলিকান পার্টির মধ্য ও উদারপন্থীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। নিজের রক্ষণশীল প্রার্থীদের সমর্থন জানাতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য সফর করছেন।

এএস