আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়বে মার্কিন সেনারা। গত মে মাস থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২০ বছর মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য কাজ করেছেন, এমন হাজার হাজার আফগানকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।

বিবিসির শুক্রবারের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনায় ৫০ হাজার পর্যন্ত আফগানকে তাদের পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  

যেসব আফগান দোভাষী যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করেছেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শেষ হলে তারা তালেবানের প্রতিশোধের শঙ্কায় ভুগছেন। দীর্ঘদিন ধরে যাদের সাহায্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে, তাদের রক্ষা করতেই ওয়াশিংটনের এমন পরিকল্পনা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার আফগান আবেদন করেছেন। তবে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হওয়ায় বিলম্ব ঘটছে। সেপ্টেম্বরের আগে তাদের অন্যান্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে তাদের আবেদনগুলো নিরাপদে চূড়ান্ত করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‌‘যারা আমাদের সহায়তা করেছেন তাদের একা ছেড়ে আসা হবে না। অন্য অনেকের মতো তারাও জীবন বাজি রেখে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরাও তাদেরকে এখানে স্বাগত জানাই।’

এদিকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন ও তার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছেন। তারা আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।’ পরে মে থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়।

এএস