মাকড়সার ভুতুড়ে জালে ঘেরা মাইলের পর মাইল এলাকা
বন্যার পর মাকড়সার বিশাল ভুতুড়ে জালে ঢেকে গেছে অস্ট্রেলিয়ার মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ এলাকা। ভিক্টোরিয়ার জিপসল্যান্ডের সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সবাই জানতে চাইছেন কেন এমনটা হল? বন্যার পর কেন বিশাল মাকড়সার জালে ঢাকা পড়ে গেল মাইলের পর মাইল এলাকা?
বিজ্ঞাপন
প্রাণীবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মাকড়সা জাল বোনে দুটি কারণে। প্রথমত, তারা একে অন্যের চেয়ে (মানুষের থেকেও) দূরে থাকতে ভালবাসে বলে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে মাকড়সারা ব্যবহার করে রেশম দিয়ে বোনা তাদের জালকেই। মাকড়সার বোনা জালই তাদের চলাচলের পথ। বন্যার ফলে মাকড়সাদের পক্ষে আর মাটিতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। থাকতে পারছে না গর্তেও। সব কিছুই ডুবে গেছে! ফলে, তারা জাল বুনতে শুরু করে অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য, যে স্থান ডুবে নেই। যেখানে যাওয়ার পর তারা মাটিতে থাকতে পারে। থাকতে পারে গর্তেও। মাকড়সারা জানে, সেই জায়গায় গেলে তারা খাবারও পাবে। ঠাঁই পাবে। বেঁচে থাকতে পারবে।
তবে বন্যার পরপরই এই মাকড়সাদের এই বিশাল ভুতুড়ে জালে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভিক্টোরিয়ার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের মানুষ। তারা মাকড়সার জাল ভাঙতে কীটনাশক স্প্রে করতে শুরু করে দিয়েছেন।
প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন ভিক্টোরিয়ার গ্রামাঞ্চলের মানুষ। কোনো কীটনাশক স্প্রে করার প্রয়োজন নেই। কয়েক দিন পর ওই মাকড়সার জাল এলাকা থেকে সরে যাবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, কিন্তু কীটনাশক স্প্রে করে মাকড়সার জাল ভাঙার চেষ্টা করলে মশাসহ নানা ধরনের কীটপতঙ্গের উপদ্রব হবে। মাকড়সার জাল যাদের আপাতত আটকে দিচ্ছে।
ওএফ