গ্রহণযোগ্যতা কমলেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। সমালোচকদের দাবি, মহামারি মোকাবিলায় মোদি সরকার ব্যর্থ। হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও টিকার সংকটে গ্রহণযোগ্যতা কমলেও এখনো জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের শীর্ষে রয়েছেন মোদি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রনেতারা মোদির চেয়ে পিছিয়ে আছেন বলে মর্নিং কনসাল্ট নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডেটা ইনটেলিজেন্স প্রতিষ্ঠানের ‘গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং’ এ উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
এসব নির্বাচিত নেতাদের জাতীয় রেটিং পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় মোদির প্রতি ভারতীয়দের সমর্থন ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবুও চলতি জুনের শুরুতে তার ওপর ভরসা রেখেছেন ৬৬ শতাংশ ভারতীয়। বাকিদের তুলনায় এখনও এগিয়ে তিনি।
মর্নিং কনসাল্ট ‘গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং’ এর জন্য ২ হাজার ১২৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়র মতামত নিয়ে চালানো ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জরিপে অংশ নেওয়া ২৮ শতাংশ ভারতীয় মোদিকে পছন্দ না করলেও তার ৬৬ শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০১৯ সালের আগস্টে যখন মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে রাজ্যকে দিখণ্ডিত করে তখন তার প্রতি সমর্থন ছিল ৮২ শতাংশের। মাত্র ১১ শতাংশ সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
— Morning Consult (@MorningConsult) June 17, 2021
নরেন্দ্র মোদির পর শীর্ষ পাঁচে আছেন যথাক্রমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি (৬৫ শতাংশ), মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাদর (৬৩ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (৫৪ শতাংশ), জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল (৫৩ শতাংশ)।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি সমর্থনের হার ৫৩ শতাংশ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৪৮ শতাংশ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৪৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন ৩৭ শতাংশ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রঅ পেদ্রো সানচেজের সমর্থন ৩৬ শতাংশ।
করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারোর জনপ্রিয়তা কমে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রতি ৩৫ শতাংশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশোহিদে সুগার প্রতি সমর্থন রয়েছে ২৯ শতাংশ মানুষের।
মর্নিং কনসাল্ট জানিয়েছে, একটি বিশেষ দেশের সব প্রাপ্তবয়স্কের সাতদিনের গড় ধরে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে মার্জিন অব এরর অর্থাৎ ভুলের সম্ভাবনা ধরা হয়েঠে প্লাস মাইনাস ১ থেকে ৩ শতাংশ ধরা হয়েছে। সব সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে অনলাইনে।
এএস