করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবং টিকাদান কর্মসূচি জোরেসোরে চালু থাকায় বাইরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নিচ্ছে মহামারিতে বিপর্যস্ত ফ্রান্স। বাড়ির বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার যে বিধান এতদিন কার্যকর ছিল তা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের এই দেশ।

বুধবার ফ্রান্সের সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ির বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিধির অবসান ঘটছে। এছাড়া রাত্রিকালীন কারফিউও ২০ জুন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বলেছেন, বাইরে জনসাধারণের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাহার হবে। তবে কিছু ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে মাস্ক পরার বিধান কার্যকর থাকবে। অজনপ্রিয় রাত্রিকালীন কারফিউও ২০ জুন প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগে ২০ জুন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাস্টেক্স বলেছেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে উন্নতি ঘটছে।

তবে ফরাসীদের বাড়ির বাইরে জনাকীর্ণ স্থান ও স্টেডিয়ামে এখনও মাস্ক পরতে হবে।

ফ্রান্সে গত বছরের আগস্টের পর একদিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে মঙ্গলবার। ওইদিন দেশটিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২০০ জনের। গত বছরের শেষের দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ করোনা সংক্রমণ পাঁচ হাজারের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।

ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের বিস্তারের ধীরগতি দেখা গেলেও ব্রিটেনে নতুন করে এই ভাইরাসের উত্থান ঘটেছে। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন এই উত্থানের পেছনে ডেল্টা প্রজাতিকে দায়ী করা হচ্ছে। 

ছয় মাস আগে ধীরগতির টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর করোনার বিভিন্ন প্রজাতির বিস্তার ঠেকাতে যতটা সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়ার লড়াই করছে ফ্রান্স।

ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ক্যাস্টেক্স বলেছেন, গ্রীষ্ম শেষের আগেই দেশের সাড়ে ৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কিছু কম। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৬৫ লাখ মানুষ পুরোপুরি টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

এসএস