মহামারি পূর্ববর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রক্রিয়া শুরুর মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দুঃখজনক একটি মাইলফলক পেরিয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে এই ভাইরাসে ৬ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের টালিতে দেখা যাচ্ছে, সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যার প্রায় ১৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।

দেশটিতে টিকাদানের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনায় গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছে। স্বজন হারানোর বেদনা, লকডাউনের বন্দিদশা, করোনার দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা, অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া মার্কিন নাগরিকরা। ধীরে ধীরে করোনা বিধি-নিষেধ শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার।

তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন অনেকে। এরিকা স্টেইন নামের মার্কিন এক নাগিরক বলেন, আমরা সবাই এই ভয়াবহ সময় কাটিয়েছি। আমাদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে ভুগেছি। গত বছর আমার সবকিছু উল্টা-পাল্টা হয়ে গেছে। কঠিন এক সময় ছিল।

রয়টার্সের টালিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানানো হলেও জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৫ জন। এছাড়া এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৮ জন।

এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে আসা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৯ জন।

ব্লুমবার্গের করোনা টিকা ট্র্যাকার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োজনীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শেষের আগেই দেশটিতে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুকারক কোম্পানিগুলো।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এসব ডোজ পেলে দেশটির ৮৫ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে; যা করোনায় হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসএস