ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট

দীর্ঘ ১২ বছর পর ইসরায়েলে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতা হারিয়েছেন। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতা নাফতালি বেনেট। এরপরই ইরানের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা নিয়ে ভোটাভুটির আগে পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া ভাষণে নাফতালি বেনেট ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘তার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন ইরানকে পরমাণু বোমার মালিক হতে দেবে না ইসরায়েল।’

ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ বলছে- পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে বেনেট বলেছেন, বিশ্বের ছয় পরাশক্তি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ফের কার্যকর করলে তা হবে একটি বড় ভুল। এর মাধ্যমে মূলত বিশ্বের সবচেয়ে ‘সহিংস একটি রাষ্ট্রকেই’ বৈধতা দেওয়া হবে।

তার দাবি, ইরানের ব্যাপারে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের যে স্বাধীনতা রয়েছে সেটা আমরা ধরে রাখবো। বক্তব্যে নাফতালি বেনেট তার জোট ‘পুরো ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব’ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়া বেনেটকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের আরব নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে তার জোট সরকার। নেতানিয়াহুকে তার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদও জানান বেনেট।

এরপরই ১২০ আসনের নেসেটে ৬০-৫৯ ব্যবধানে জিতে সরকার গঠন করে নেতানিয়াহু বিরোধী এই জোট। পরে নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ইয়েশ আতিদ পার্টির মাইকে লেভিকে পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে বিরোধী দল ডানপন্থি লিকুদ পার্টির প্রধান নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, বিরোধী ভূমিকায় তার দল শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।

টিএম