অধিকৃত জেরুজালেমের আল-কুদস শহরে গুলি করে এক ফিলিস্তিনি নারীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহত ওই ফিলিস্তিনি নারীর নাম ইবতিসাম কাবনেহ (২৮)। শনিবার (১২ জুন) আল-কুদস শহরের একটি চেক পয়েন্টে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা শনিবার জেরুজালেমের আল-কুদস শহরের উত্তর অংশে ‘কালান্দিয়া’ এলাকার প্রবেশ পথে ২৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নারী ইবতিসাম কাবনেহকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়।

এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় ওই নারীর শরীর থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হলেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে মেডিকেল টিমগুলোকে অনুমতি দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা। ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ওই নারীর নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার নিহত ইবতিসাম কাবনেহকে ২০১৬ সালে একবার আটক করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। সেসময় ইসরায়েলের কারাগারে তিনি ১৮ মাস বন্দী ছিলেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, জেরুজালেমের আল-কুদস শহরের পশ্চিমতীর ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী কালান্দিয়া চেকপোস্টে দায়িত্বরত সেনা সদস্যদের দিকে ছুরি হাতে তেড়ে আসছিলেন ওই নারী। বার বার থামতে বলার পরও তিনি নাকি থামেননি এবং হাত থেকে ছুরিও ফেলে দেননি। বাধ্য হয়ে ফিলিস্তিনি নারী ইবতিসাম কাবনেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গোপন অভিযান চালিয়ে অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।

নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) গোয়েন্দা বাহিনীর দুই কর্মকর্তা ছিলেন। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা সেসময় জানায়, নিহত দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আধাম ইয়াসির আলাওয়ি (২৩), তায়সির ইসাকে (৩২) শনাক্ত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অভিযানে নিহত তৃতীয়জন ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার নাম জামিল আল-আমুরি।

টিএম