হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে ব্যর্থ ইসরায়েল
টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এবার হামাস জানিয়েছে যে, ইসরায়েল তাদের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সময় হামাসের এই টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা ইসরায়েলের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছিল দেশটি। তবে শনিবার (৫ জুন) এক বক্তৃতায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্য হামাস কীভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে তা আলাদা আলাদা ভাবে তালিকা করে তুলে ধরেন।
বিজ্ঞাপন
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশার বলছেন, হামাস নেতা সিনওয়ার তার এই বক্তৃতায় হামাসের দিক থেকে আবার বিজয় দাবি করেছেন। সিনওয়ার বলেন, ইসরায়েল তাদের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের তিন শতাংশের কম ধ্বংস করতে পেরেছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রায় ১৪ বছর ধরে গাজা শাসন করছে। ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে তাদের নজিরবিহীন ক্ষতিসাধন করতে পেরেছে বলে নেতানিয়াহু প্রশাসনের ইতোপূর্বে করা দাবির সঙ্গে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বক্তব্য নিঃসন্দেহে বিপরীত।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার গত মাসের ১১ দিনের লড়াইকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের সামরিক সক্ষমতার একটি মহড়া বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই সংঘাতে হামাস বেশি শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে এসেছে।
সিনওয়ার বলছেন, হামাস তার শক্তিমত্তার যে প্রমাণ দিয়েছে তার সুবাদে দলটির এখন পিএলও-র পুর্নবিন্যাস দাবি করার অধিকার জন্মেছে। তিনি বলেছেন, হামাস, ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যান্য উপদলগুলোর অংশগ্রহণ না থাকলে পিএলও-র আলোচনা শুধু কথাবার্তার মধ্যেই সীমিত থাকবে। তারা কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না।
সিনওয়ার আরও বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভেদের কারণেই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
টিএম