মাসিক হিসেবে বিগত এক দশকের মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সর্বোচ্চ। খাদ্যপণ্যের মূল্য সংক্রান্ত বৈশ্বিক এক দীর্ঘ তালিকা ব্যবহার করে জাতিসংঘ যে হিসাব করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বে খাবারের দাম টানা ১২ মাস ধরে শুধু বেড়েই গেছে। 

মহামারিকালে উৎপাদন, শ্রমিক, পরিবহন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্যপণ্য সরবরাহকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বেশি। এছাড়া মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।     

দানাদার খাবার, তেল, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনির মতো আরও অনেক পণ্যের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে এই তালিকাটি তৈরি ও প্রকাশ প্রকাশ করেছে ইতালির রোমভিত্তিক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা এফএও।

এফএও’র ওই তালিকা অনুযায়ী বার্ষিক হিসাবে গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১০ সালের অক্টোবরের পর মাসিক হিসাবে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম গত এক দশকে এতটা বাড়েনি।    

তালিকায় থাকা পাঁচটি উপাদানের প্রতিটিরই দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল, শস্য দানা ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো ছিল শীর্ষে। বলা হচ্ছে, সব সূচক মিলিয়ে মোটের ওপর ২০১১ সালে সেপ্টেম্বরের পর খাবারের দাম ছিল সর্বোচ্চ।

কিছু কিছু দেশে চাহিদা আরও বেড়ে যাওয়া ও উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি। দেশে দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার কারণে বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থা যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে স্থানীয়ভাবে খাদ্যপণ্যের ঘাটতি ও এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। 

এএস