ইরানে তেল শোধনাগারে ভয়াবহ আগুন
ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবারের এই অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না; তা এখনও জানা যায়নি। দেশটির জরুরি সেবাবিভাগের একজন কর্মকর্তা ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরআইএনএনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিএনএন বলছে, তেহরানের দক্ষিণের তোন্দগুয়ান তেল শোধনাগারের আগুনে কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। জরুরি সেবাবিভাগ এবং দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন
তেহরানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মনসুর দারাজাতি বলেছেন, ওই শোধনাগারের একটি স্থাপনায় তরল গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ হয়েছে। এই লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত হবে।
তেহরান তেল শোধন কোম্পানির জনসংযোগবিভাগের প্রধান শাকের খাফায়েই বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে কেউ হতাহত হননি। তবে এটি শত্রুপক্ষের কোনও চোরাগোপ্তা হামলা কি-না জানতে চাইলে নাকচ করে দেন শাকের।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডের শিকার তেল শোধনাগারের ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী তেহরানের দক্ষিণের আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়ছে।
দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, ওই তেল শোধনাগারের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্র-পরিচালিত ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাব (ওয়াইজেসি) বলছে, বুধবার তোন্দগুয়ান তেল শোধনাগারে ১৮টি ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে গেছে। তোন্দগুয়ানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হামেদ আরমানফার বলেছেন, বৃহস্পতিবার শোধনাগারের আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে।
বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালীর কাছে ইরানের নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ ‘খার্ক’ অগ্নিকাণ্ডের পর ডুবে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেহরানে তেল শোধনাগারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০ ঘণ্টার সর্বাত্মক চেষ্টায়ও খার্কের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় ইরানের সামরিক বাহিনী। পরে এই জাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে ডুবে যায়। তবে জাহাজের প্রায় ৪০০ ক্রু ও প্রশিক্ষণার্থীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এসএস