করোনা মহামারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার সরকার দেশটি থেকে কাউকে হজে যেতে দেবে না বলে জানিয়েছে। মহামারির প্রকোপের কারণে গতবারও দেশটি থেকে হজে যাওয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ায় হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কোটা পদ্ধতি। তাই দেশটির বেশিরভাগ মানুষের জন্য জীবনে একবার হজে যাওয়ার সুযোগ মেলে। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে অনুযায়ী, হজে যাওয়ার সুযোগ পেতে একজন ইন্দোনেশিয়ানকে গড়ে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হয়।

দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত খলিল কাউমাস বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘মহামারি ও হজযাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সরকার চলতি বছরও গত বছরের মতো কোনো ইন্দোনেশিয়ানকে হজে যেতে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 

সৌদি আরবও এখনো হজে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে নয়, কোনো দেশ এখনও তাদের দেশ থেকে কারো হজে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পায়নি। কারণ বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়নি।’  

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২০২০ সালে সৌদি আরব দেশের বাইরের কোনো মুসলমানদের হজে অংশ নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। হজ নিয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো নজির নেই। কিন্তু গত বছর এটা করতে বাধ্য হয় সৌদি।

পরে সৌদি সরকার সৌদির নাগরিক এবং সৌদিতে বাস করছেন এমন এক হাজার মানুষকে নিয়ে গত বছর হজের আয়োজন করে। এ বছরও সীমিত পরিসরে হজের আয়োজন করা হবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। 

তবে গত মার্চে সৌদি সরকার ঘোষণা দেয়, যারা এবার পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব আসতে চান, তাদের জন্য করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। হজ পালনের জন্য সৌদি আসতে অনুমোদন (পারমিট) পেতে টিকা নেওয়ার বিষয়টি হবে অন্যতম প্রধান শর্ত।

এএস