প্রাণঘাতী রোগ করোনায় এ পর্যন্ত বিশ্বে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৫ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়, (বুধবার, ২ জুন) মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯২৯ জন করোনা রোগীর।

এছাড়া, গত দেড় বছরে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ২৪ লাখ ৫ হাজার ৪৪২ জন। বুধবার বিশ্বজুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৬১ জন।

মহমারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের যে দেশগুলোতে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র (৬ লাখ ১০ হাজার ৯৯৪ জন), ব্রাজিল (৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৬ জন), ভারত (৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৩ জন), মেক্সিকো (২ লাখ ২৭ হাজার ৮৪০ জন), পেরু (১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪২ জন),  যুক্তরাজ্য ( ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৪ জন), ইতালি (১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৩ জন), রাশিয়া (১ লাখ ২২ হাজার ২৬৭ জন) এবং ফ্রান্স (১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৮ জন)।

তবে গত প্রায় দু’মাস ধরে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত। দেশটিতে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ১০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৯৯ জন করোনা রোগীর।

এই হিসেবে ভারতের পরেই অবস্থান ব্রাজিলের। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৫০৯ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৩৯৪ জন।

দক্ষিণ আমেরিকার অপর দেশ আর্জেন্টিনা এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বুধবার সেখানে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ১৭ জন এবং এ রোগে ওই দিন দেশটিতে মারা গেছেন ৫৮৭ জন।

আর্জেন্টিনার পরে যে দেশে একদিনে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার নাম কলম্বিয়া; ভৌগলিকভাবে এই দেশটিরও অবস্থান দক্ষিণ আমেরিকায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কলম্বিয়ায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার এবং এই সময়সীমার মধ্যে দেশটিতে মারা গেছেন ৫১১ জন।

মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত রোগী ও মোট মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেব। বুধবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৬০৬ জন এবং ওই দিন দেশটিতে মারা গেছেন ৫০৭ জন করোনা রোগী।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬১ জন। এদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করে চলেছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮১ জন এবং গুরুতর অবস্থায় আছেন ৯০ হাজার ৮০ জন।

অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত দেড় বছরে মোট ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে শনাক্তের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পৃথিবীজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও); কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে গত ১১ মার্চ ডব্লিউএইচও করোনায়কে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।   

এসএমডব্লিউ