আমরা নরকে বসবাস করছি। সকলেই এই নরকে বাস করছি। এমন এক পরিস্থিতি যেখানে সবাই সাহায্য করতে চান অথচ প্রত্যেকেই অসহায়। করোনা মহামারির মধ্যেই নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধের অভাব নিয়ে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেছেন ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট।

শুক্রবার (২৮ মে) ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধের সংকট নিয়ে দু’টি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি জশমিত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি দুই রোগীর পক্ষ থেকে দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানির সময়ই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। শুনানিতে বিচারপতিরা সরকার পক্ষের আইনজীবীর কাছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ আমদানির কী পরিস্থিতি তা জানতে চান।

এসময় অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতম শর্মা জানান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম এবং চীন থেকে ইতোমধ্যেই ২ লাখ ৩০ হাজার লিপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখে এই অর্ডার দেওয়া হয়।

এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কবে এই অর্ডার ডেলিভারি হবে? তা সাধারণ মানুষের মধ্যে কীভাবে বিতরণ করা হবে? ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে এই পরিমাণ ওষুধ কী পর্যাপ্ত হবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত তথ্যসহ আগামী সোমবারের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে।

মহামারির মধ্যে ভারতে করোনার চেয়ে অনেকগুণ প্রাণঘাতী ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকলেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।

ইতোমধ্যেই সারা দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ইতোমধ্যেই মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য।

সূত্র: এনডিটিভি

টিএম