কানাডার এক পার্লামেন্ট সদস্যকে (এমপি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি ‘সহায়তা’ চেয়েছেন। পার্লামেন্টের ভার্চুয়াল সেশনে এক মাস আগে নগ্ন অবস্থা দেখা গিয়েছিল এই এমপিকে। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টের কনফারেন্স চলাকালে প্রস্রাব করতে দেখা যায় তাকে। 

অভিযুক্ত ওই এমপি উইলিয়াম অ্যামোস বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘গতরাতে হাউজ অব কমন্সের একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলাম, তখন আমি প্রস্রাব করেছিলাম। খেয়ালই ছিল না যে আমি তখন ক্যামেরায় (ভিডিও কনফারেন্সে)।’ পার্লামেন্টের ওই বৈঠকটি ভার্চুয়ালি হলেও ‍জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।

অ্যামোস বলেন, ‘আমি আমার কাজের জন্য খুবই বিব্রত, যারা ওই ঘটনার সাক্ষী তারাও বিব্রত হয়েছেন।’ ‘যদিও ঘটনাটি জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়নি, তাও আমার কাজটি অগ্রহণযোগ্য, আমি সরল মনে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি’, যোগ করেন তিনি।

এপ্রিলেই পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে নগ্ন অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন উইলিয়াম অ্যামোস। তাও আবার কানাডা ও কিউবেকের পতাকার মাঝে। যদিও তার শরীরের গোপন অংশ তখন হাতে থাকা স্মার্টফোন ডেকে দিয়েছিল।

এপ্রিলেই পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে নগ্ন অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন উইলিয়াম অ্যামোস

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির এমপি অ্যামোস তখন দাবি করেছিলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যামোস সম্প্রতি ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন প্রস্রাব করা অবস্থায়, যখন তার হাতে কফির কাপ ছিল।

কনজারভেটিভ পার্টির এমপি কারেন ভ্যাচিলো বলেন, অ্যামোস দ্বিতীয়বার এ অবস্থায় ধরা পড়েছেন সহকর্মীদের সামনে। হোক সেটা হাউজে কিংবা হাউজ অব কমন্সে ভার্চুয়াল বা অন্য কোনো মাধ্যমে। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পার্লামেন্টকে এমন আচরণ থেকে মুক্ত করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, এটা অ্যামোসের আচরণের নমুনা। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হলো যে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি প্রথম ঘটনার পরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এ ঘটনার পর ৪৬ বছর বয়সী অ্যামোসকে পার্লামেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও তার সংসদ সদস্য পদ বহাল রয়েছে। এ অবস্থায় অ্যামোস সহায়তা চেয়েছেন। তবে কোন বিষয়ে তার সহায়তা প্রয়োজন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

সূত্র: এএফপি

এসএসএইচ