নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যে কোম্পানির তৈরি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেবেন, দ্বিতীয় ডোজটিও ওই কোম্পানির টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামের ২০ ব্যক্তিকে পৃথক কোম্পানির তৈরি ভিন্ন ভিন্ন দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।    

উত্তরপ্রদেশের নেপাল সীমান্তবর্তী সিদ্ধার্থনগর জেলার সরকারি হাসপাতালেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। ওই গ্রামের ২০ ব্যক্তিকে দুই ডোজে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করে বলছেন, এটা ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। 

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির বৃহস্পতিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এখন পর্যন্ত ওই ২০ জনের কারো শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তবে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত এপ্রিলে তাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও চলতি মে মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন।

করোনার বেশিরভাগ টিকাই দুই ডোজের। ভারতে ভিন্ন ভিন্ন টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার সরকারি অনুমোদন নেই। ভিন্ন ভিন্ন ডোজ দিয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় কি না তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। ফলে টিকার মিশ্রিত ডোজের বিষয়টি সমালোচনা তৈরি করেছে।  

সিদ্ধার্থনগর জেলার প্রধান চিকিৎসক এনডিটিভিকে বলেছেন, ‌‘বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়েছে। যারা বিষয়টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের কাছ থেকে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’ তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।  

অনেক গ্রামবাসী বলছেন, টিকার ‘ককটেইল’ নিয়ে তারাও এখন শঙ্কিত। কারণ এতে আগামী সপ্তাহগুলোতে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হতে পারে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় তার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। 

সিদ্ধার্থনগরের প্রধান চিকিৎসক সন্দ্বীপ চৌধুরী বলছেন, ‘এটি অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমাদের প্রতিনিধিদল ওই ব্যক্তিদের সবার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন। তারা সবাই এখন ভালো আছেন এবং তাদের এ কারণে কোনো সমস্যা হয়নি।’

এএস