অ্যাঙ্গোলায় কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে শতাধিক মৃত্যু

মধ্য-আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় কলেরার প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কলেরায় এসব মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত কয়েক দিনে দেশটিতে কলেরায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ছে।
খনিজ-সমৃদ্ধ আফ্রিকার এই দেশটির নিজস্ব তেল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দারিদ্রের উচ্চ হার ও দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৩ হাজার ১৪৭ জন কলেরা রোগী পাওয়া গেছে; যাদের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী লুয়ান্ডার বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
অ্যাঙ্গোলায় কলেরায় আক্রান্তদের বয়স ২ থেকে ১০০ বছর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাজধানী লুয়ান্ডায় চলতি বছরে অন্তত ৪৮ জনের প্রাণ কেড়েছে কলেরা। এছাড়া রাজধানীর পার্শ্ববর্তী প্রদেশ বেনগোতে আরও ৪৩ জন মারা গেছেন প্রাণঘাতী এই রোগে।
সাধারণত কলেরায় আক্রান্ত রোগীদের কলেরা তীব্র ডায়রিয়া, বমি এবং মাংস পেশিতে খিঁচুনি দেখা যায়। চিকিৎসা না পেলে কলেরায় আক্রান্ত রোগীর কয়েক ঘণ্টার মাঝে প্রাণহানি ঘটতে পারে। যদিও কলেরায় আক্রান্ত সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে ওরাল রিহাইড্রেশন এবং গুরুতর রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছিল, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বজুড়ে কলেরা প্রাদুর্ভাবের চিত্র ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ ৩২ শতাংশ কমে গেলেও আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রায় ১২৫ শতাংশ বেড়েছে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস