যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কাতার। বুধবার (২৬ মে) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন। অর্ধ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে উপসাগরীয় দেশটি এই ঘোষণা দিল।

টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকেই বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতেই অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির পুনর্গঠনে এগিয়ে এলো কাতার।

বুধবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠনে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করবে কাতার। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রকৃত ও কার্যকর সমাধান না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের সাহায্য করে যাবো।’

আর্থিক-সহ অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়ার বাইরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে কাতার। অতীতে বিভিন্ন সময় গাজার উন্নয়নে শত শত কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে রাষ্ট্রটি।

এছাড়া ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে গত সপ্তাহে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মিসর।

টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১ দিনের এই ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু রয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১১ দিনের এই যুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে প্রায় চার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম