আল-আকসায় হামলার জবাব দেওয়া হবে : হিজবুল্লাহ
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে ইসয়ায়েলের যে কোন আগ্রাসন ও হামলার জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ।
১১ দিনের গাজা যুদ্ধে উপত্যকার শাসক হামাস বিজয় অর্জন করায় ফিলিস্তিনি মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে দক্ষিণ লেবানন মুক্ত করার ২১তম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
বিজ্ঞাপন
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন তথা সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের বিজয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ আরও বলেন, প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সামরিক শাখাগুলো চমৎকারভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেছেন, সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে যা ঘটেছে তা ছিল ইসরাইয়েলি শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ইতিহাসে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। এ যুদ্ধে যা ঘটেছে তা থেকে ইসরায়েলকে এই শিক্ষা নিতে হবে যে, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদুল আকসার বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।
প্রতিরোধ যোদ্ধারা এবার গাজাবাসীকে রক্ষা করতে নয় বরং আল-কুদসকে রক্ষা করতে যুদ্ধে করেছেন বলে এ সময় দাবি করেন তিনি।
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বাধীন হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েল ২০০০ সালের মে মাসে দক্ষিণ লেবানন থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়। শত্রুদের বিরুদ্ধে ওই বিশাল বিজয়ের জন্য ইরান ও সিরিয়ার পৃষ্ঠপোষকতার কথা স্মরণ করে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, দক্ষিণ লেবানন মুক্ত করার পেছনে ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির অনন্য অবদান ছিল।
সূত্র: পার্স টুডে
এএস