প্রতীকী ছবি

মাসে বিদ্যুতের বিল দেন ২ হাজার ৫০০। কিন্তু সেই গ্রাহককেই ২০০ কোটিরও বেশি অর্থের বিল ধরিয়ে দিলো বিদ্যুৎ দপ্তর। আর সেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের বিল পেয়ে জ্ঞান হারানোর অবস্থা হলো তার।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার যতন গ্রামের বাসিন্দা ললিত ধীমান পেশায় একজন ছোটখাটো ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি মাসে তিনি দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার রুপির বিদ্যুতের বিল দেন। কোনও কোনও মাসে তারও কম। কিন্তু গত ডিসেম্বরে তার কাছে বিদ্যুতের বিল আসে। বিলে টাকার পরিমাণ দেখে প্রথমে বেশ আশ্চর্যই হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন তিনি হয়তো ভুল দেখছেন। তাই বিল নিয়ে প্রতিবেশীদের দেখান।

প্রতিবেশীরা জানান, বিলে টাকার পরিমাণ দেখে তারাও স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। ললিতকে তারা জানান, বিলে রুপির পরিমাণ ২০০ কোটির বেশি। আর এই কথা শুনে প্রায় জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয় ললিতের। মূলত ললিতের বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দেখানো হয় ২১০ কোটি ৪২ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ রুপি।

পরে প্রতিবেশীদের পরামর্শে বিল নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে যান ললিত। তাদের গোটা বিষয়টি জানান। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে তাকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। তারপর সেই বিলে অর্থের পরিমাণ সংশোধন করে ৪ হাজার রুপি করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুল করে ধীমানের কাছে গিয়েছিল কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল। পরে তার বিল সংশোধন করে ৪ হাজার ৪৭ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

অবশ্য ভারতে এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও গুজরাটের ভালসাদে এক দর্জির কাছে বিদ্যুতের বিল এসেছিল প্রায় ৮৬ লাখ রুপি। যা তার দোকানের সম্পত্তির মূল্যকে ছাড়িয়ে যায়।

এই ঘটনার পর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা ওই দর্জির মিটার পরীক্ষা করেন। আর তখনই দেখতে পান ভুল রিডিং নেওয়া হয়েছে। এবার অনেকটা একই চিত্র দেখা গেল হিমাচল প্রদেশেও।

টিএম