গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এর মাধ্যমে এই প্রথম হামাসের সাবেক শীর্ষ নেতাকে হত্যার দায় স্বীকার করল বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্র।

সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে হুথি বিদ্রোহীরা। আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই তাদের পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই যে আমরা ইতোমধ্যে হামাসকে পরাজিত করেছি, হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সমূহ ক্ষয়ক্ষতি করেছি , তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছি এবং সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারকে গদিচ্যুত করার মাধ্যমে ‘শয়তানের অক্ষে’ গুরুতর আঘাত হেনেছি। এখন বাকি আছে কেবল হুথি বিদ্রোহীরা। যেভাবে আমরা আমাদের অন্যান্য শত্রুদের দমন করেছি, হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রেও সেই একই পরিণতি ঘটবে।”

“আমরা হুথিদের কৌশলগত সব অবকাঠামো ধ্বংস করব, আর অতীতে যেভাবে আমরা তাদের নেতাদের খতম করেছি— তেহরানে হানিয়া, গাজায় সিনওয়ার এবং লেবাননে নাসরাল্লাহর সঙ্গে আমরা যা করেছি, সানা এবং হোদেইদা’র (হুথি বিদ্রোহীদের সর্বোচ্চ নেতা) সঙ্গেও আমরা তা ই করব।”

হামাসের রাজনৈতিক শাখার সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ২০১১ সাল থেকে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ৩১ জুলাই তেহরান গিয়েছিলেন তিনি। তেহরানে যে অতিথি ভবনে তিনি ছিলেন, সেখানে বিস্ফোরণের জেরে নিহত হন তিনি। পরে জানা গেছে, তাকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা করা হয়েছিল।

হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেনি, আবার স্বীকারও করেনি। গতকাল সোমবার প্রথম সরাসরি হানিয়া হত্যার দায় স্বীকার করল ইসরায়েল।

হানিয়া নিহত হওয়ার পর হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শীর্ষ নেতা হিসেবে বেছে নেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু হানিয়া গত হওয়ার মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে নিহত হন সিনওয়ারও। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানে নিহত হন সিনওয়ার।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ