টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এরপরই বিজয়ের আনন্দে ভাসছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এবার গাজা যুদ্ধে আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে নীরব থাকার অভিযোগ এনেছে ইরান।

শনিবার (২২ মে) রাজধানী তেহরানে দেওয়া এক বক্তৃতায় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যকার ঐক্য ও সংহতি এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দৃঢ় মনোবলের কারণে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশাল বিজয় অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী এমনকি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আমরা অভূতপূর্ব এক ঐক্য ও সংহতি দেখতে পেয়েছি। আমরা এ বিজয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষও সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন ও সংহতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু পশ্চিমা দেশ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মুসলিম দেশ এই সংঘর্ষে ইতিবাচক ভূমিকা ও পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু আরব বিশ্বের জনগণ কিছু সুনির্দিষ্ট আরব দেশের কাছ থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করেছিল। কিন্তু এসব দেশ গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ পাশবিক হামলার শেষ দিন পর্যন্ত পরিপূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করেছে।

উল্লেখ্য, টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১১ দিনের এই ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু রয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় হামাসের কমপক্ষে ১৫০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। হামাস অবশ্য নিজেদের যোদ্ধাদের হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১১ দিনের এই যুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে প্রায় চার হাজার রকেট ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।

টিএম