রাশিয়ার পশিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্রুস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার অন্তত ১০০ জন সেনা সদস্য এবং আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার জন। উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য লি সিওং-কেউন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এ তথ্য।

রাজধানী সিউলে পার্লামেন্ট ভবনে আয়োজিত সেই  সংবাদ সম্মেলনে লি সিওং-কেউন জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এ তথ্য অবহিত করা হয়েছে সরকারকে। লি সিওং-কেউন বলেন, “রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার অন্তত ১০০ সেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার সেনা। তবে পিয়ংইয়ং মস্কোকে জানিয়েছে যে তারা আরও সেনা পাঠাবে রাশিয়ায় এবং যে সেনাদের পাঠানো হবে, ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নিজে তাদের প্রশিক্ষণের খোঁজ-খবর রাখছেন।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ক্রুস্কে হামলা চালিয়ে প্রদেশটির কিছু অংশ দখল করে নেয় ইউক্রেনীয় সেনারা।

এদিকে চলতি বছরই রাশিয়াকে যুদ্ধে সহায়তার জন্য সেনা পাঠানো শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্রুস্কের দখল হওয়া অংশ পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তর কোরিয়ার সেনাদের। সেই থেকে ক্রুস্কের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম-শহরে মোতায়েন রয়েছেন উত্তর কোরীয় সেনারা।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার এমপি লি সিওং-কেউন বলেন, রাশিয়ায় এ পর্যন্ত ১০ হাজারেররও বেশি সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেই সঙ্গে ১০ হাজারেরও বেশি কন্টেইনার ভর্তি করে সমরাস্ত্রও পাঠিয়েছে দেশটি। এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি গোলা, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট, মেকানিজড হাউইৎজার কামান এবং রকেট লাঞ্চার।

প্রসঙ্গত, পিয়ংইয়ং কিংবা মস্কো— কোনো পক্ষই এ পর্যন্ত স্বীকার করেনি বা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া সেনা সদস্য ও সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। তাই কবে থেকে উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানো শুরু করেছে— তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি এখনও।

তবে গত জুন মাসে পিয়ংইয়ং সফরে গিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে পৌঁছে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ধারণা করা হয়, সেই পুতিনের সেই সফর এবং বৈঠকের পরই রাশিয়ায় সেনা-সমরাস্ত্র পাঠানো শুরু করে উত্তর কোরিয়া।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ