রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্রুস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় গত এক সপ্তাহে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন উত্তর কোরীয় সেনা। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন সেনা।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ক্রুস্ক প্রদেশে হামলা চালিয়ে প্রদেশের কিছু অংশ দখল করে নেয় ইউক্রেনীয় সেনারা।

চলতি বছরই রাশিয়াকে যুদ্ধে সহায়তার জন্য সেনা পাঠানো শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্রুস্কের দখল হওয়া অংশ পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তর কোরিয়ার সেনাদের। সেই থেকে ক্রুস্কের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম-শহরে মোতায়েন রয়েছেন উত্তর কোরীয় সেনারা।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ক্রুস্কের প্লেখোভো, ভরোঝবা এবং মার্তিনোভকা গ্রামে ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত হয়েছে উত্তর কোরীয় সেনাদের। সে সময়ই ঘটেছে নিহত এবং আহতের এসব ঘটনা।

তবে ৩০ জন উত্তর কোরীয় সেনা নিহতের যে দাবি ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা করেছে, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি সংস্থা। রয়টার্সের পক্ষে তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে আরও তথ্যের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কার্যালয়ের মুখপাত্ররা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন না করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের কিয়েভের তদবিরের জেরে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গত তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো।

এদিকে ওই একই মাসে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে কিয়েভ; কিন্তু ন্যাটোর পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও সমরাস্ত্র প্রদান এখনও অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ