প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহীদের গঠিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। সিরিয়ার নতুন প্রশাসন যদি এই ধরনের সহায়তা চায়, তাহলে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতেও তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক সিরিয়ায় আসাদ-বিরোধী আন্দোলনকারী বিদ্রোহীদের সহায়তা করেছে। বিদ্রোহীদের এই আন্দোলনের মুখে গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটেছে।

তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেছেন। তার এই সফরের দু’দিন পর শনিবার দামেস্কে পুনরায় নিজেদের দূতাবাস চালু করেছে তুরস্ক। রোববার আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার বলেছেন, ‘‘নিজেদের প্রথম বিবৃতিতে আসাদের শাসনের অবসান ঘটানো নতুন প্রশাসন দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ঘোষণা দিয়েছে।’’

সিরিয়ার নতুন সরকারকে তুরস্ক সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গুলার বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশের সঙ্গে আঙ্কারার সামরিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ চুক্তি রয়েছে। সিরিয়ার নতুন প্রশাসন অনুরোধ করলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে তুরস্ক।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ২০১৬ সাল থেকে উত্তর সিরিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে অন্তত চারটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে তুরস্ক। দেশটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার আফরিন, আজেজ এবং জারাব্লুস এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাস আল আইন ও তেল আবিয়াদসহ অন্যান্য কয়েকটি শহরে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গুলার বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে আঙ্কারা।’’

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস