ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে এবার ভারতকেও ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত করেছে কথিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। 

আইসিইর বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক খবরে জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই তালিকায় এমন দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে থাকে যারা প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না।

আইসিই জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু ও নির্ধারিত ফ্লাইটে নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ।

খবরে বলা হয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ভারতীয় অভিবাসীই ১৮ হাজার।

আইসিই এর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের।

ভারতীয় অনেক অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। কেননা, বৈধতার আবেদনেই সাধারণত দু-তিন বছর সময় লেগে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী এক মাসের মধ্যে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছেন। ফলে চূড়ান্ত আদেশপ্রাপ্ত হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীকেও ফেরত পাঠানো হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এর মধ্যে আরও খারাপ খবর পেয়েছে ভারত। দেশটিকে দেওয়া সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের (এমএফএন) মর্যাদা বাতিল করেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। এর ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এমএসএ