বাংলাদেশ ও নেপালের অন্তত ২৪ জন কর্মীকে জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করায় ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ কোম্পানি ডাইসনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আপিল আদালত। শুক্রবার এক রায়ে এ অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

২০২২ সালে ডাইসন টেকনোলজি লিমিটেড, ডাইসন লিমিটেড এবং কোম্পানির মালয়েশীয় শাখার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ ও নেপালের এই ২৪ কর্মী। শুক্রবার সেই মামলার রায় দিলেন আপিল আদালত। মামলাকারী কর্মীদের একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

হাই-এন্ড ব্রিটিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রস্তুতকারক ডাইসনের জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করার সময় মালয়েশিয়ার একটি কারখানায় তাদের জোরপূর্বক শ্রম দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা দুই ডজন অভিবাসী শ্রমিক লন্ডনে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন, আপিল আদালত শুক্রবার রায় দিয়েছে।

মামলাকারীদের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানান, এই কর্মীদের সবাই ডাইসনের মালয়েশীয় অংশীদার কোম্পানি এটিএ ইন্টারন্যাশনালে কাজ করতেন। এটিএ ইন্টারন্যাশনাল ডাইসনের পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করত।

মামলার অভিযোগে এই কর্মীরা বলেছেন, তাদেরকে কষ্টকর কর্মপরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হতো, বেতন থেকে নানা ছুতায় অর্থ কেটে রাখা হতো এবং টার্গেট বা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন না করতে পারলে মারধোরও করা হতো।

এ ইস্যুতে প্রথমে লন্ডন হাইকোর্টে ডাইসনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় লন্ডন হাইকোর্ট ডাইসনকে এককভাবে দায়ী করে।

তবে ২০২১ সালে ডাইসনের মালয়েশিয়া শাখা এটিএ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং ব্রিটেনের হাইকোর্টকে অনুরোধ জানায় যে মামলাটি যেন মালয়েশিয়ার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। সেই অনুরোধ মেনে গত বছর মামলাটি মালয়েশিয়ার আপিল আদালতে স্থানান্তর করেন লন্ডন হাইকোর্ট।

শুক্রবার আপিল আদালত রায় দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডাইসনের মালয়েশিয়া শাখার এক মুখপাত্র বলেন, “আদালত কেবল মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। এখনও মামলা হয়েনি। মামলা হলে আমরা অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, তবে আমরা আদালতের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষন করছি।”

সূত্র : ব্যাংকক পোস্ট

এসএমডব্লিউ