আজই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে ফ্রান্স, কাকে বেছে নেবেন ম্যাক্রোঁ?
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটে উত্তাল গোটা ফ্রান্স। টালমাটাল পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে ইউরোপের এই দেশটিতে। এমন অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেন এবং এতে করে দেশটিতে রাজনৈতিব সংকট দেখা দেয়। শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার সকালে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে। ম্যাক্রোঁ পোল্যান্ড সফর থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসার পরে বৃহস্পতিবার এলিসি প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস জানায়, “(নতুন) প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার বিবৃতি আগামীকাল সকালে প্রকাশিত হবে।”
ফ্রান্সের নতুন এই প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে বার্নিয়ের পদত্যাগের পরপরই ম্যাক্রোঁর পদত্যাগের দাবিও উঠেছিল। কারণ ম্যাক্রোঁর অনেক রাজনৈতিক বিরোধীই মনে করেন, ফরাসি এই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাবে।
কিন্তু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ২০২৭ সালে ‘মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ তার পদে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ কার নাম ঘোষণা করতে পারেন তা নিয়ে আছে জল্পনা-কল্পনা। আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটেইলেউ এবং মধ্যপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া বায়রু।
তবে অচলাবস্থার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর সমর্থন পাবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দেন। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কর্তৃক নিযুক্ত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় সরে যেতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন
ভোটাভুটিতে সংসদ সদস্যদের হয় হ্যাঁ ভোট দিতে হতো বা ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হতো। প্রস্তাবটি পাসের জন্য ২৮৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। তবে ফরাসি পার্লামেন্টের মোট ৩৩১ জন এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন।
এর ফলে ১৯৬২ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে ইউরোপের এই দেশটিতে সরকারের পতন হলো। এই ঘটনা ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, কারণ গত গ্রীষ্মে আগাম নির্বাচনের পর ফরাসি পার্লামেন্টে কার্যত কোনও গোষ্ঠীরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
টিএম