চীনা ধনকুবের জং শানশানকে টপকে এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ধনীর স্থানটি নিজের দখলে নিয়েছেন গৌতম আদানি। ভারতীয় এই শিল্পপতি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা। আহমেদাবাদভিত্তিক বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনাকারী বহুজাতিক গোষ্ঠীর কর্ণধার তিনি।

মার্কিন দৈনিক ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স ইন্ডেক্স অনুয়ায়ী আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এশিয়ার শীর্ষ ও বিশ্বের ১৩তম ধনী ব্যক্তি। আর শানশানকে টপকে ১৪তম স্থানটি দখলে নিলেন আদানি। ফলে এশিয়ার শীর্ষ দুই ধনীর দুজনই এখন ভারতীয়।  

গত ফেব্রুয়ারিতেই শানশানকে টপকে এশিয়ার ধনী ব্যক্তির স্থানটি নিজের দখলে নিয়েছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ফলে শানশান ২য় স্থানে চলে গিয়েছিল। এবার তাকে টপকালেন আদানি। শানশানের ৬৩.‌৬ বিলিয়নের বিপরীতে গৌতম আদানির সম্পদ এখন ৬৬.‌৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইন্ডেক্স অনুয়ায়ী, এ বছর আদানির সম্পদ ৩৭.‌৭ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি চিনের সব চেয়ে ধনী ব্যবসায়ী শানশানকে টপকে গেলেন। এদিকে এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৭৬.‌৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

পণ্য ব্যবসায়ী হিসেবে জীবন শুরু করা গুজরাটের গৌতম আদানির ছয় প্রতিষ্ঠান আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্যাস ও আদানি ট্রান্সমিশনের সম্মিলিত বাজার মূলধন গত বৃহস্পতিবারের হিসাবে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। 

মহামারির মধ্যেও আদানির সম্পদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তার কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে আকাশচুম্বি। যেমন আদানি গ্রিন, আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্যাস ও আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাপক হারে। 

এএস/জেএস