ভারতে একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে রুশ-নির্মিত মিগ যুদ্ধবিমানগুলো (পুরোনো ছবি)

ভারতে ফের মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন পাইলট। শুক্রবার (২১ মে) রাত ১টার দিকে দেশটির পাঞ্জাব রাজ্যের মোগা জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পাইলটের নাম অভিনব চৌধুরী। তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানটি। দুর্ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরী গুরুতর আহত হন। পরে মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।

এছাড়া বাহিনীর পক্ষ থেকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই কঠিন সময়ে নিহতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ‘গত রাতে পশ্চিম সেক্টরে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। আইএএফ-এর বাইসন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরী নিহত হয়েছেন। বিমান বাহিনী এই মর্মান্তিক ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করছে এবং শোকাহত পরিবারের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।’

তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ঘটেছে তিনটি দুর্ঘটনা। গত মার্চ মাসে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ গুপ্তা। এর আগে গত জানুয়ারিতেও রাজস্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। অবশ্য সেই দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিগ-২১ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। সেসময় প্রাণে রক্ষা পান দুই পাইলট।

এছাড়া গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রশিক্ষণ চলাকালীন আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। ওই ঘটনার পর সেদিনই এক পাইলটের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন আরেকজন। ১১ দিন পর উদ্ধার হয় দ্বিতীয় পাইলটের মরদেহ।

উল্লেখ্য, চার দশক আগে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল রুশ-নির্মিত মিগ যুদ্ধবিমানগুলো। এরপর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে বিমানগুলো। বর্তমানে মাত্র এক স্কোয়াড্রন অর্থাৎ ১৭টি বিমান অবশিষ্ট রয়েছে। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর সবগুলোকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী।

টিএম