পাকিস্তান : ইমরান খানের এক হাজার কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিভিন্ন স্তরের প্রায় ১ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পিটিআইয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা এ দাবি করেছেন।
তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছিল পিটিআই। ৩ দিন পর ২৭ নভেম্বর দলটির হাইকমান্ড কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
বিজ্ঞাপন
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর রয়টার্সকে বলেন, ২৬ তারিখ রাতে ইসলামাবাদে দলের কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা। এতে শত শত কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ তিনি বা দলটির অন্য কোনো নেতা দিতে পারেন নি।
এদিকে ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান আলী রিজভি পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে প্রায় ১ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তারের তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, ২৪ তারিখ কর্মসূচি শুরুর দিন থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।
এছাড়া পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ কিছু অটোমেটিক রাইফেল, টিয়ার গ্যাস বন্দুক জব্দ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন আলী রিজভি।
খানিকটা বিস্ময়কর হলেও সত্য যে এত বড় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আলী আমিন গান্দাপোর এবং ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ব্যতীত পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্য কোনো নেতার উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি। ২৬ তারিখ রাতে দুজনই সমাবেশস্থল ত্যাগের পর ২৭ তারিখ বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় পিটিআই।
গতকাল খাইবার পাখতুনখোয়ার মানসেরা শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গান্দাপোর বলেন, “ইমরান খানের স্ত্রী এবং আমি সরাসরি হামলার শিকার হয়েছিলাম। আমাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছিল।”
এদিকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের বলেছেন, “(পিটিআইয়ের কর্মসূচিতে) কেউ নিহত হয়েছেন— এমন কোনো সংবাদ এখনও আমরা পাইনি। তাই গুলি করে হত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
“তবে পিটিআইয়ের কাছে যদি এ সম্পর্কিত কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা তা আমাদের দিতে পারেন। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।”
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ