ছবি সংগৃহীত

শুয়ে আছেন, বসে আছেন, অফিসে কাজ করছেন, ঘরে অবস্থান করছেন, কিছুতেই যেন ভালো লাগে না। নতুনত্ব নেই, সবকিছু মনমরা বিষন্ন, এভাবেই যেন জীবনটা চলে যাচ্ছে। আপনার কী এমন মনে হয়? তাহলে আপনি একা নন। আপনার মতো বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই এমন অনুভব করেন।

গ্যালাপ গ্লোবাল ইমোশন জরিপ ২০২৪ এ ওঠে এসেছে এমন তথ্য। বাংলাদেশের মতো আফগানিস্তানের মানুষের জীবন কাটে মনমরা আর আনন্দহীনভাবে।

বিশ্বের ১৪২টি দেশের বিভিন্ন বয়সী মানুষের ওপর গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই গবেষণামূলক জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি। এতে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগের দিন আপনি কী প্রফুল্লদায়ক কোনো কিছু করেছেন বা শিখেছেন? জবাবে মাত্র ১৭ শতাংশ বাংলাদেশি বলেছেন তারা আনন্দদায়ক কিছু করেছেন। আর বাকি ৮৩ শতাংশ বলেছেন, তাদের আগের দিনটা এমনেই কেটে গেছে। আফগানিস্তানেরও ১৭ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন।

এই তালিকার সবার শীর্ষে আছে আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। জরিপে অংশ নেওয়া দেশটির ৭৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা আনন্দদায়ক কিছু করা বা শিখেছেন। এছাড়া চীনের ৫৯ শতাংশ ও ভারতের ৫২ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বলেছেন তারা উৎফুল্লদায়ক কিছু করেছেন।

গ্যালাপ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী আনন্দদায়ক কিছু করা বা শেখার ক্ষেত্রে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে এটি তেমন বাড়েনি।

এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি একটা সুখিও না বলে এই জরিপে ওঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে সর্বনিম্ন ইতিবাচক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর হলো ৫৬। তবে সবচেয়ে কম সুখি হলো আফগানিস্তানের মানুষ। সর্বনিম্ন ইতিবাচক সূচকে তাদের স্কোর হলো ৩৮।

আগের দিন শারীরিক কোনো যন্ত্রণা, উৎকণ্ঠা, দুঃখ, ভয় অথবা রাগ অনুভব করেছিলেন কিনা এই প্রশ্নগুলো করা হয়েছে এই সূচকে। এতে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫৬।

এমটিআই