দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হওয়ার দুই মাস পর সাবেক প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর দাফন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে হিজবুল্লাহ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা। ওই হামলায় নাসরুল্লাহ প্রাণ হারান।

হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কাউন্সিলের উপপ্রধান মাহমুদ কামাতি বলেছেন, তারা নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক দাফন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। আর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই এমন ঘোষণা দিল সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অজ্ঞাত স্থানে কবরস্থ করা হয়। এখন তার সম্মানে আয়োজন করা হবে আনুষ্ঠানিক দাফন অনুষ্ঠান।

বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ কামাতি বলেছেন, “দাফন অনুষ্ঠান আয়োজনের সময় ওই সময় তার দাফন স্থগিত করা হয়। তিনি যে দাফন অনুষ্ঠানের যোগ্য আমরা সেটির আয়োজন করছি। তাকে বিদায় জানানোর অনুষ্ঠান হবে প্রকাশ্য এবং আনুষ্ঠানিক।”

হাসান নাসরুল্লাহ ছাড়াও হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হাসিম সাফিউদ্দিনকেও হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর সাফিউদ্দিনের হিজবুল্লাহ প্রধান হওয়ার কথা ছিল। ইসরায়েলি হামলায় তিনিও নিহত হওয়ার পর সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর প্রধানের দায়িত্ব নেন নাঈম কাশেম।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই