ভারতের মুর্শিদাবাদে
স্ত্রী পালিয়েছেন প্রেমিকের সঙ্গে, সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ যুবকের
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী। সেই থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের যুবক রাজেশ দাস। স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভে দুই নাবালক সন্তানকে বিষ খাইয়ে তাদের নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানার নিহালিয়া-স্টিমার ঘাট এলাকার বাসিন্দা রাজেশের সঙ্গে কয়েক বছর আগে মৌ দাসের বিয়ে হয়। কয়েক মাস আগে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান মৌ। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
তবে পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাননি ওই যুবতী। বরং স্বামী এবং দুই সন্তানকে ছেড়ে দুই মাস আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বলছেন, স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন রাজেশ।
রাজেশের পরিবার বলছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে প্রথমে মেয়ে রক্তিমা দাসকে বিষ খাইয়ে দেন রাজেশ। এরপর ছেলে আর্যবীর দাসের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। পরে দুই সন্তানকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গঙ্গার ঘাটে চলে যান ওই যুবক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এক সন্তানের হাতে ধরে এবং অন্য জনকে কোলে নিয়ে নদীর ঘাটে গিয়ে এক সঙ্গে ঝাঁপ দেন রাজেশ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করতে নামেন। পরে তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিয়াগঞ্জ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়ে তাদের। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাজেশের মা খুকু দাস বলেন, তিনি একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। সেই কাজে গিয়ে খবর পান ছেলে নাতি-নাতনিকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
‘‘আমার ছেলের বউ অন্য এক যুবকের সঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকে ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। মাঝেমাঝে ও সন্তানদের ওপর বিনা কারণে রেগে যেত। আমার মনে হয় বউয়ের ওপর রাগ থেকে এই কাজ করেছে রাজেশ।’’
এসএস