দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। নেতানিয়াহু ছাড়াও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইসিসির এই পরোয়ানায় নেতানিয়াহু কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন সে বিষয়টি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার কাছে বিশ্লেষণ করেছেন আন্তর্জাতিক আইন প্রফেসর নেভে গোর্ডান।

আলজাজিরার সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, “নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বাস্তবে কী পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে? গাজা উপত্যকার যুদ্ধে এটির প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?”

জবাবে এই প্রফেসর বলেছেন, “আমরা মনে হয় প্রভাব পড়বে। প্রথমত, রোম চুক্তির স্বাক্ষরকারী আইসিসির যেসব সদস্য দেশ রয়েছে, যদি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট তাদের দেশে যায় তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করতে তারা আইনিভাবে বাধ্য। যার অর্থ সামনের বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী এ দুজনের চলাচল নাটকীয়ভাবে সীমিত হয়ে যাবে।”

এছাড়া আইসিসির এই আদেশ দখলদার ইসরায়েলে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র পাঠানোর ক্ষেত্রেও ঝামেলা তৈরি করবে বলে মনে করেন এই প্রফেসর। তার মতে, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মাধ্যমে ইসরায়েলে অস্ত্র না পাঠাতে উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে হেগের আন্তর্জাতিক এই আদালত।

তিনি বলেছেন, “যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করার জন্য ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, এটির অর্থ ইউরোপিয়ান দেশগুলো যেসব অস্ত্র পাঠাচ্ছে সেগুলো দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হচ্ছে। এ কারণে আজ থেকেই তাদের অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। আমি বলব অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করুন।”

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই