যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ইনসেটে আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমু।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও বাংলাদেশ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে বাংলাদেশ বিষয়ে তিনটি প্রশ্ন করা হয়। এরমধ্যে আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমুর আইনজীবীর ওপর হামলা, সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মুছে ফেলার প্রস্তাব এবং মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো উঠে আসে। প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার বহাল থাকবে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা।

এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, “সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দাবি সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনও তথ্য বা মূল্যায়ন আছে? এই অস্ত্রের সম্ভাব্য সূত্র এবং এই ধরনের বক্তব্যে ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনও শঙ্কা আছে কি না?”

জবাবে মিলার বলেন, “আমি এই বক্তব্য দেখিনি। আমি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না।”

এরপর মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে ওই সাংবাদিক বলেন, “বাংলাদেশে আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবীদের ওপর হামলা বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে (আওয়ামী লীগের) জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে। মানবাধিকার, আইনি সুরক্ষা এবং বাংলাদেশের আইন ও শাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?”

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশে মানবাধিকারের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পূর্ববর্তী (আওয়ামী) সরকারের সময় যা ছিল, বর্তমান সরকারের বেলাতেও তা একই আছে। আমরা চাই যে বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার বহাল থাকবে।”

সবশেষে তাকে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

এমটিআই