মণিপুরে সংকট আরও প্রকট, সহিংসতার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া একে এক ছয় জনের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেইদের বিক্ষোভে পুড়ছে রাজ্যটির ইম্ফল উপত্যকা।
এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। রাজ্যে চলমান সহিংসতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে দায়ী করেছে তারা।
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনায় মণিপুরে সংকট আরও প্রকট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সমর্থন প্রত্যাহার করায় সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনা এখনও নেই। রোববার (১৮ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এবং এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন এনপিপি সভাপতি।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বক্তব্য, রাজ্যের চলমান সহিংসতার জন্য রাজ্য সরকার, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং দায়ী। তিনি নিজেই বহুক্ষেত্রে সহিংসতার উস্কানি দিয়েছেন। আর এই কারণে দেড় বছর ধরে রাজ্য অশান্ত।
এই পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সরকারে থাকা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এনপিপি। এন বীরেন সিংয়ের সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে “সংকট সমাধান এবং স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে” বলেও দাবি করেছে দলটি।
গত বছরের ৩ মে থেকে জাতিগত দাঙ্গায় উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে এখনও পর্যন্ত আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এদিকে এনপিপি সমর্থন তুলে নেওয়ায় এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় এনপিপির ৭ জন বিধায়ক রয়েছে। তবে এনপিপির সাত বিধায়কের সমর্থন ছাড়াই বীরেন সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আরও পড়ুন
অবশ্য এনপিপির সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অবশ্যই বীরেন সিং সরকার ও বিজেপির জন্য অস্বস্তিকর। মণিপুর দাঙ্গা নিয়ে অবশেষে এনডিএ শরিক দল বিজেপির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল। অঅর এর ফলে বিরোধীদের সমালোচনা আরও যৌক্তিক হিসেবে সামনে এলো।
এদিকে মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। রোববার বরাক নদী থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা আরও এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ছাড়াও রাজ্যের ৯ জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা হয়।
টিএম