বাইডেনের সঙ্গে শেষবার বৈঠক শি’র, ট্রাম্পের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের সঙ্গে এটিই ছিল শি জিনপিংয়ের সর্বশেষ বৈঠক।
এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। রোববার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান মার্কিন প্রোসডেন্ট জো বাইডেনের সাথে নিজের চূড়ান্ত বৈঠকে দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের নেতা শি জিনপিং। শনিবার পেরুতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তারা বৈঠকে বসেন।
এই বৈঠকে তারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের চার বছরের দায়িত্বকালে উভয় দেশের সম্পর্কের “উত্থান-পতনের” কথা স্বীকার করেন। তবে উভয়েই বাণিজ্য এবং তাইওয়ানের মতো ইস্যুতে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে অগ্রগতিও একে অপরের সামনে তুলে ধরেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন থেকে পণ্যের আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিসহ এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে মার্কিন-চীন সম্পর্ক আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে।
নবনির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীন থেকে সমস্ত ধরনের পণ্য আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় পদে কট্টর চীন-বিরোধী ব্যক্তিদের নিয়োগও করেছেন।
নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনকে “কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। মহামারী চলাকালীন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কোভিডকে “চীনা ভাইরাস” হিসাবে আখ্যায়িত করলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়।
শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের বিষয়ে বেইজিংয়ের যে লক্ষ্য রয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, “চীন যোগাযোগ বজায় রাখতে, সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে এবং ভিন্নতা থাকলেও সম্পর্ক পরিচালনা করতে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।”
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, দুটি বৈশ্বিক পরাশক্তির মধ্যে কৌশলগত এই প্রতিযোগিতা যেন যুদ্ধের পর্যায়ে না পৌঁছায়।
তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশ নিজেদের মধ্যে থাকা প্রতিযোগিতার কোনোটিকেই সংঘাতের দিকে যেতে দিতে পারে না। এটা আমাদের দায়িত্ব এবং গত চার বছরে আমি মনে করি আমরা প্রমাণ করেছি যে এই সম্পর্ক থাকা সম্ভব।”
টিএম