অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভারতের গুজরাট রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার গুজরাটের সুরাটের পুলিশের বিশেষ শাখা অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রশিদা বেগম নামের ওই নারী চার বছর আগে অবৈধপথে ভারতে প্রবেশ করেন। মুম্বাইয়ে এক বছর বসবাস করেন তিনি। পরে সেখান থেকে গুজরাটের সুরাটে চলে যান। সুরাটের বিভিন্ন স্পা সেন্টারে কাজ করেন তিনি।

জাল নথি ব্যবহার করে আধার কার্ড এবং ভারতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন রশিদা বেগম। তবে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পরিচয়পত্রও পেয়েছে সুরাট পুলিশ।

সুরাট পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক দালালের সহায়তায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানান। এ সময় কীভাবে তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সেই বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশকে ওই নারী বলেছেন, বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর ট্রেনে করে মুম্বাই যান তিনি। পরে সেখান থেকে গুজরাটের সুরাটে পৌঁছান। গত তিন বছর ধরে সুরাটের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে রশিদা বাংলাদেশের বারাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। তিনি একজন দালালের সহায়তায় যশোর জেলার সীমান্ত অতিক্রম ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।

তিন মাস আগে গুজরাট পুলিশের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা সুরাটে ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছেন। এরপর গত মাসে রাজ্যের আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখার গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৮ অবৈধ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে আটপজন নারী ছয় শিশুও ছিল।

এসএস