যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে ক্যারোলিন লেভিটকে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই পদে যোগ দেবেন লেভিট। ক্যারোলিন লেভিটের বয়স মাত্র ২৭ বছর এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হতে চলেছেন তিনি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি তার পরবর্তী প্রশাসনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হিসাবে কাজ করার জন্য তার প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটকে দায়িত্ব দেবেন।

আর এর ফলে ২৭ বছর বয়সী লেভিট হবেন মার্কিন ইতিহাসে হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে— কংগ্রেসের এক সময়ের এই প্রার্থী, যিনি ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনেও হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিসে কাজ করেছিলেন,  তিনি “মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবেন এবং আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবেন। আমেরিকাকে আবার মহান করুন”।

ট্রাম্প আরও বলেন, “ক্যারোলিন স্মার্ট, দৃঢ় এবং একজন অত্যন্ত কার্যকর যোগাযোগকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন”।

বিবিসি বলছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা ক্যারোলিন লেভিট তার নিজ অঙ্গরাজ্যের ক্যাথলিক কলেজ সেন্ট অ্যানসেলম কলেজে যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন। স্কুলে থাকাকালীন তিনি ফক্স নিউজে এবং ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে ইন্টার্ন করেছিলেন। তিনি ২০২০ সালে পলিটিকোকে বলেছিলেন, এই অভিজ্ঞতাগুলোর মাধ্যমে তিনি “প্রেসের জগতে প্রথম ধারণা” পেয়েছিলেন। আর এসব অভিজ্ঞতাই তাকে প্রেস রিলেশনশিপে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যায়।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় আড়াইশো বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফিরতে চলেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

অবশ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। তবে এর আগেই নিজের প্রশাসন সাজাবেন তিনি।

মূলত নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন করে প্রায় চার হাজার পদে নিয়োগ দিতে হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে। সেই তালিকায় মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা পর্যন্ত নির্ধারণ করেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর একে একে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করছেন।

টিএম