৬.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলে ৬.৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে।
ইউএসজিএস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপ দেশটির ইস্ট নিউ ব্রিটেন প্রদেশের রাজধানী কোকোপো শহর থেকে প্রায় ১১২ কিমি দূরে ভূপৃষ্ঠের ৫২.৪ কিলোমিটার (৩২.৫ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত মার্চ মাসে পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও সহস্রাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলেও ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাপুয়া নিউগিনি।
আর গত সেপ্টেম্বরের শুরুতেও ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটি।
উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।
এর আগে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
আরও পড়ুন
এছাড়া গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে সেসময় সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।
তারও আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টিএম