ফাইল ছবি

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বেশ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর অনুযায়ী রাজধানী শহরের বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।

এদিন সকালে একিউআই স্কোর ৯৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান রয়েছে ৩৫তম-তে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৫৬০, ৩৫৮ ও ২০৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

যখন বাতাসে কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে “মাঝারি” বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে “অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে “খুব অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে “বিপজ্জনক” হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। মূলত দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এই শহরের বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ স্থাপনার ধুলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

টিএম