গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘরের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে দুজনের মধ্যে। সেটি রূপ নেয় ভয়াবহতায়। এরপর দুজনই দুজনকে আঘাত করেন। আর ওই আঘাতে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ঘটে এই ঘটনা।

ওই সময় তাদের ১১ বছর বয়সী ছেলে পাশের আরেকটি রুমে ভিডিও গেমস খেলছিল। সে জানেও না তার বাবা-মায়ের মধ্যে এত বড় ঝগড়া হয়েছে এবং তারা দুজনই মারা গেছে।

ওরেগনের পোর্টল্যান্ড থেকে ৫০ মাইল দূরের ওয়াশিংটনে থাকতেন আন্তোনিও আলভারাদো সায়েঞ্জ (৩৮) এবং সেসেলিয়া রোবলেস ওখোয়া (৩৯) নামের এ দম্পতি। গত ৩১ অক্টোবর তাদের মধ্যে বড় ধরনের ঝগড়া হয়। তদন্তকারীরা এখনো জানতে পারেননি তাদের মধ্যে প্রথম কে আঘাত করেছিলেন।

তবে তাদের দুজনই মৃত্যু হওয়ার আগে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আলভারেজের বুকে একাধিক ছুরির আঘাত ছিল। তিনি সেই আঘাত থেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে ওখোয়ার শরীরে ছুরির ও গুলির আঘাত ছিল। আর তাদের দুজনের মরদেহ পাওয়া যায় রান্না ঘরে।

তাদের ছেলে সেখানে বাবা-মাকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জরুরি পরিষেবার নম্বরে কল দেয়। উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের চিকিৎসা দেয়। তবে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ওই দম্পতির ১১ বছর বয়সী ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিল না।

গোয়েন্দারা প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছেন, এ দুজনের মধ্যে কলহ চলছিল এবং তারা আলাদা হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায় পিস্তলটি সায়েঞ্জ তার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চুরি করে এনেছিল এবং এ ঘটনার আগে ওই নিয়োগকর্তা পিস্তল হারানোর ব্যাপারে কাউকে কিছু জানাননি।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।

এমটিআই