রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে আর সামরিক সহায়তা না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক পরামর্শক। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে ভূখণ্ড ফেরত পাওয়ার লড়াই নয়; ইউক্রেনকে এখন শান্তির ওপর নজর দিতে হবে।

ব্রায়ান লাঞ্জা নামের এই পরামর্শক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বাস্তব শান্তির চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেবেন তারা।

তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যদি আলোচনার টেবিলে আসেন এবং বলেন, যদি আমাদের ক্রিমিয়া ফেরত দেওয়া হয়, শুধুমাত্র তখন আমরা শান্তি চুক্তি করব। তাহলে এটি দেখাবে তিনি আসলে শান্তি চুক্তির ব্যাপারে সিরিয়াস নন।”

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে অধিগ্রহণ করে রাশিয়া। এর আট বছর পর ২০২২ সালে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলে হামলা চালায় দেশটি। গত দুই বছরের বেশি সময়ে ইউক্রেনের বিশাল একটি অংশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বলেছিলেন, নির্বাচিত হতে পারলে সবার আগে যুদ্ধ এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত মার্কিন সহায়তা বন্ধ করবেন তিনি।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক দল বলেছে, ট্রাম্পের এমন অবস্থান ইউক্রেনের জন্য আত্মসমর্পণ করার সামিল। এছাড়া তার এই নীতিতে পুরো ইউরোপ ঝুঁকিতে পড়বে বলেও দাবি করছে তারা।

গত মাসে জেলেনস্কি ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নামের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় ইউক্রেনের ভৌগলিক অখণ্ডতার বিনিময়ে তারা কোনো শান্তি চুক্তি করবেন না।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানো সময় ট্রাম্প কয়েকবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে কীভাবে এটি সম্ভব করবেন তার বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

ট্রাম্পের এই পরামর্শক ক্রিমিয়ার কথা উল্লেখ করলেও; ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য ভূখণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। যা দখল করে রেখেছে রাশিয়ার সেনারা।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই